সরিষা তেলের যত উপকার এখনি জেনে নিন

 

সরিষা তেলের অনেক উপকারিতা , আমরা জানিনা বিদায় তার কারণে আমরা সরিষায় তেল ব্যবহার করা দিনে দিনে কমিয়ে দিচ্ছি কিন্ত এখনো আমাদের দেশে হাজার হাজার সচেতন পরিবার আছে যারা কিনা সরিষায় তেল দিয়ে রান্না থেকে শুরু করে সবকিছু করে থাকে , আজকে আমরা জানবো সরিষা তেলের উপকার তাহলে চলুন শুরু করা যাক 


🏵 সরিষার তেল ত্বকের তামাটে ভাব ও কালো দাগ দূর করে ত্বককে প্রাকৃতিক ভাবে উজ্জ্বল করে। 


🏵যেহেতু সরিষার তেল খুব ঘন হয় এবং এতে উচ্চমাত্রার ভিটামিন-ই থাকে সেহেতু এই তেল ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে এবং অন্যান্য দূষিত পদার্থ থেকে ত্বককে সুরক্ষা দিতে পারে। তাই স্কিন ক্যান্সার ও প্রতিরোধ করতে পারে। ভিটামিন ই বলিরেখা ও বয়সের ছাপ দূর করতে পারে। 


🏵 খসখসে শুষ্ক ঠোঁট পুরো চেহারা সুরতের ওপরই ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। কয়েক ফোঁটা সরিষার তেল প্রয়োগে ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করা সম্ভব। যা মোড়কজাত ঠোঁটের বামের চেয়েও বেশি নিরাপদ।

 

🏵 সরিষার তেল চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, অকালে চুল সাদা হওয়া রোধ করে ও চুল পড়া কমায়। সরিষার তেল ভিটামিন ও খনিজে পরিপূর্ণ থাকে। বিশেষ করে উচ্চমাত্রার বিটা ক্যারোটিন থাকে। বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন এ তে রূপান্তরিত হয়ে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফ্যাটি এসিড ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। 


🏵 ক্ষুধার উপর সুস্বাস্থ্য বহুলাংশে নির্ভর করে। পাকস্থলীর পাচক রস উদ্দীপিত করার মাধ্যমে ক্ষুধা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে সরিষার তেল। 


🏵 পরিপাক, রক্ত সংবহন ও রেচন তন্ত্রের শক্তিশালী উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে সরিষার তেল। খাওয়ার পাশাপাশি বাহ্যিকভাবে শরীরে ম্যাসাজ করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। মালিশের পর ঘর্মগ্রন্থিগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে বেশি ঘাম বেরিয়ে শরীরের টক্সিন দূর হয়।


🏵 সরিষার তেল মনোস্যাচুরেটেড ও পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাটে সমৃদ্ধ বলে কোলেস্টেরলের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। এর ফলে কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমে। সরিষার তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড (এম ইউ এফ এ) যা শরীরের দরকার। এই এমইউএফএ হার্ট ভাল রাখে। 

সরিষার তেলে থাকা এম ইউ এফ এ রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ভালো কোলেষ্টেরেলের পরিমান বাড়ায়। এতে রক্তে ফ্যাটের মাত্রা কমে চলাচলের গতি বাড়ে। সরিষার তেলের আলফুলিনোলেনিক অ্যাসিড ইসকেমিক হার্টের সমস্যা কমায়। সরিষার তেলে রান্না খাবার খেলে কার্ডিওভাসকুলার সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৭০ শতাংশ কমে যায়।


🏵 সরিষার তেলে গ্লুকোসিনোলেট নামক উপাদান থাকে যা অ্যান্টিকারসিনোজেনিক উপাদান হিসেবে পরিচিত। তাই ক্যান্সারজনিত টিউমারের গঠন প্রতিরোধে সাহায্য করে সরিষার তেল। এর ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট কোলোরেক্টাল ও গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। 


🏵এজমা এট্যাক হলে সরিষার তেল বুকে মালিশ করে অথবা এক টেবিল চামচ সরিষার তেল, এক চা চামচ কর্পুরের সাথে মিশিয়ে বুকে মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায়। 


🏵 সরিষার তেল শিশুর হাত-পায়ের দৈর্ঘ্য ও ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।


🏵সরিষার তেল সেলেনিয়াম উপস্থিত থাকায় এন্টি-ইনফ্লামেটরি হিসেবে কাজ করে ফলে জয়েন্টের ব্যাথা এবং ফোলা কমায়। সরিষার তেলের এন্টি-প্রদাহজনক বৈশিষ্ট্য থাকায় ডাইক্লোফেনাক নামক এন্টি-প্রদাহী ঔষধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও কোমর ব্যাথা, গোশতপেশির ব্যাথাতেও কাজ করে। 


আজ তাহলে এ পর্যন্ত সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন 


No comments

Powered by Blogger.